আপনি করোনা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন কিনা জেনে নিন
সারাদেশে গণহারে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে। অনেকের মনে অনেক ধরণের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে ভ্যাকসিন দেয়া নিয়ে। আজ ভ্যাকসিন নিয়ে কিছু প্রশ্ন এবং এর উত্তর সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো।
এক্ষেত্রে সাধারণ কিছু প্রশ্ন হলো:
প্রশ্ন-১:
আমার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এলার্জি বা হাপানী আছে।
ভ্যাকসিন দিতে পারবো?
উত্তরঃ
অবশ্যই পারবেন। এসব রোগ যাদের আছে, তাদের সবার আগেই ভ্যাকসিন নেয়া উচিত। কারণ তারা রিস্ক জোনে আছে।
প্রশ্ন-২:
আমার কোভিড পজিটিভ ছিল বা লক্ষণ ছিল তবে পরীক্ষা করাইনি। ভ্যাকসিন দিতে পারবো?
উত্তরঃ
অবশ্যই পারবেন। তবে পজিটিভ হওয়ার বা জ্বর কাশির লক্ষণ দেখা দেয়ার ২৮ দিন পর।
প্রশ্ন-৩:
গর্ভবতী মা এবং দুগ্ধ পান করাচ্ছেন এমন মায়েরা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন?
উত্তরঃ
বাচ্চা দুধ খায় এমন মায়েরা যেকোন সময় ভ্যাকসিন নিতে পারবে। তবে গর্ভবতী মায়েরা গর্ভের ১৩ থেকে ৩৩ সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিন নিতে পারবে যা সম্পূর্ণ নিরাপদ।
প্রশ্ন-৪:
ভ্যাকসিন দিলে নাকি হার্টের সমস্যা হচ্ছে বা অনেকে মারা যাচ্ছে?
উত্তরঃ
সামান্য জ্বর বা ব্যথা দেখা দেয়া যেকোনো ভ্যাকসিনের কমন সাইড ইফেক্ট। মারা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। খুবই অল্প সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি ভ্যাকসিন দেয়ার পর সামান্য হার্টের প্রদাহ দেখা দিয়েছিল, তবে দ্রুত সুস্থও হয়ে গিয়েছে। অতএব এসব অমূলক চিন্তা থেকে বিরত থাকাই মঙ্গল।
প্রশ্ন-৫:
আমি রক্তদাতা বা ডোনার। ভ্যাকসিন দেয়ার বা রক্ত দেয়ার নির্দেশনা কি?
উত্তরঃ
ভ্যাকসিনও দিতে পারবেন, ব্লাডও ডোনেট করতে পারবেন। তবে ভ্যাকসিন দেয়ার ২৮ দিন পর রক্ত দান করতে পারবেন। ২৮ দিনের ভেতরে নয়।
প্রশ্ন-৬:
ভ্যাকসিন দেয়ার পরও আমার পুনরায় জ্বর, শরীর ব্যথা। এর কারণ কি??
উত্তরঃ
ভ্যাকসিন দেয়ার পরও করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে করোনার প্রভাব খুবই কম থাকে, অল্পতেই সুস্থ হয়ে যায়। তাছাড়া জ্বরের কারণ অন্যান্য রোগ যেমন ডেঙ্গু বা টাইফয়েডও হতে পারে।
তথ্যসূত্রঃ WHO, CDC
0 Comments