ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে যেসব খাবারে
আজকের আলোচনায় থাকছে এমন কিছু খাবারের গুনাগুণ সম্পর্কে যেসব খাবার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
১. হলুদঃ
হলুদে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে ক্ষয় হতে রক্ষা করে এবং ব্রণ ও ত্বকের লালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়া হলুদ ত্বকের হারানো লাবণ্য ফিরিয়ে আনে এবং বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই ত্বককে উজ্জ্বল ও সুন্দর রাখতে খাবারে হলুদ রাখা আবশ্যক।
তবে ত্বকে হলুদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে খাঁটি হলুদ ব্যবহার করা উত্তম। সিনথেটিক রঙ সমৃদ্ধ হলুদ ব্যবহারে ত্বকে এলার্জিসহ দাগ হতে পারে।
২. গাজরঃ
নিয়মিত গাজর খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ যা ত্বকের অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়া গাজর ত্বকের বন্ধ লোমকূপ পরিষ্কার করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে দারুন ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি গাজরে থাকা বিটা-ক্যারোটিন এবং ক্যারোটিনয়েড প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের রোদপোড়াভাব প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৩. ডিমঃ
ডিম যেমন সুস্বাদু তেমন ডিমে রয়েছে সকল পুষ্টি উপাদান। নিয়মিত ডিম খাওয়ার ফলে ত্বকের দীপ্তি বাড়ে।
ডিমে রয়েছে সালফার যা কোলাজেন উৎপাদন করে এবং এটি ত্বককে উজ্জ্বল ও টানটান রাখতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুমে রয়েছে ভিটামিন ই যা ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিমের তৈরি খাবার ত্বককে সুস্থ রাখে ও ওজন কমায়।
৪. মিষ্টি আলুঃ
এর কোলাজেনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে ভিটামিন সি, যা বয়সের ছাপ কমায়। আর তাই কোমল-মসৃণ ও তারুন্যময় ত্বক পেতে চাইলে প্রতিদিন মিষ্টি আলু খেতে পারেন।
তবে কখনো মিষ্টি আলু ভেজে খাবেন না এতে করে এর পুষ্টিকর ও উপকারী উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। মিষ্টি আলু সিদ্ধ করে খাওয়া ভালো।
৫. রান্না করা টমেটোঃ
রান্না করা টমেটো খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং ত্বক তাঁর তারুণ্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়। রান্না করা টমেটোতে থাকে জাদুকরী পুষ্টি উপাদান লাইপোসিন, যা ত্বকের বলিরেখা ও বয়সের ছাপসহ ত্বকের ঝুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
তাই ত্বককে সুন্দর রাখতে নিয়মিত রান্না করা টমেটো খান।
তবে খেয়াল রাখতে হবে প্রক্রিয়াজাত চিনি বা লবণ দিয়ে যেনো টমেটো সংরক্ষণ করা না হয়, এতে উপকারের চাইতে অপকারই বেশি হবে।
৭. গ্রিন টিঃ
গ্রীন টি তে রয়েছে ভিটামিন বি-১২ এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট ইজিসিজি যা ত্বককে সুস্থ ও তারুণ্যময় রাখে। এছাড়া গ্রীন টি বয়সের ছাপ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং ত্বকের সকল প্রদাহ দূর করে।
গ্রীন টি খাওয়া এবং ত্বকে ব্যবহার দুটিই উপকারী। ত্বকে গ্রীন টি ব্যবহার করার ফলে ত্বকের ছোট ছোট কাটা-ছেড়া সেরে যায় এবং ত্বকে ব্রণের প্রবণতা কমে যায়।
গ্রীন টি কেনার সময় এটি শতভাগ খাঁটি কিনা তা খেয়াল করবেন। কেননা গ্রীন টি তে অতিরিক্ত রাসায়নিক উপাদান যুক্ত থাকে, যা ব্যবহারে ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
৮. পেঁপেঃ
পেঁপে ভিটামিন এ এবং পেপাইনের উত্তম উৎস। আর এ উপাদান দুটি ত্বককে সতেজ ও আর্দ্র হতে সহায়তা করে।
নিয়মিত পাকা পেঁপে খাওয়ার ফলে ত্বকের ব্রেক আউট, দাগ কমে।
শুধু ত্বক নয়, চুল, নখ এবং চোখ সুস্থ রাখতে নিয়মিত কমলা রঙের খাবার খাওয়া উপকারী।
৯. পালংশাকঃ
পালংশাকে বিদ্যমান ভিটামিন এ, সি ও কে ত্বককে উজ্জ্বল রাখার পাশাপাশি ত্বকের সকল দাগ ও কালচেভাব কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়া পালংশাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের সকল সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং প্রাকৃতিকভাবে সান ব্লক হিসেবে কাজ করে। পালংশাকে থাকা অক্সালিক এসিড শরীরকে দ্রুত পুষ্টি শোষণ করতে সহায়তা করে।
0 Comments