গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়াঃ
গরম পানি দিয়ে গোসল করলে বা চুল ধুলে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চুল পড়া বেড়ে যায়। এছাড়া গরম পানি দিয়ে চুল ধুলে চুল শুষ্ক হয়ে যায়।
ভেজা চুল আচড়ানোঃ
ভেজা চুল আঁচড়ানো এবং ভেজা চুল টাওয়াল দিয়ে ঘষে ঘষে মোছা ঠিক না । কারন ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া অনেক দুর্বল থাকে, যার ফলে চুল সহজেই ভেঙে যায়। তাই চুল শুকালে আঁচড়াতে হবে এবং ভেজা অবস্থায় চুল মোছার জন্য নরম টাওয়াল দিয়ে হালকা করে চেপে চেপে মুছতে হবে।
টাইট করে চুল বাঁধাঃ
অনেক সময় বিশেষ করে ঘুমানোর সময় টাইট বা শক্ত করে চুল বাধা বা বেনী করেন অনেকেই। কিন্তু এটি চুলের জন্য অনেক ক্ষতিকর। কারন শক্ত করে চুল বাধার কারনে চুলের গোড়ায় অনেক চাপ পড়ে, যার ফলে ত্বকের লোমকূপ স্থায়ীভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং চুল গজানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এর ফলে মাথায় টাকও পড়তে পারে।
আর তাই চুল হালকা করে বাধতে হবে।
চুলের স্টাইলিং মেশিন ব্যবহারঃ
চুলের বিভিন্ন স্টাইলিং মেশিনের গরম তাপ চুল গজানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং মাথার ত্বকের বাহিরের স্তরকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং চুলের আগা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা বহু গুণে বেড়ে যায়।
আর তাই হেয়ার ড্রায়ার, হেয়ার স্ট্রেইটনার ইত্যাদি হেয়ার স্টাইলিং মেশিন ব্যবহার না করাই ভালো।
চুলের বিভিন্ন প্রসাধনীঃ
চুলের বিভিন্ন প্রসাধনী যেমন হেয়ার স্প্রে বা জেল ব্যবহারের ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। কারন এগুলোতে এলকোহলের পরিমাণ বেশি থাকে, যা চুলকে রুক্ষ এবং ভঙ্গুর করে দেয়। তাছাড়া অনেক সময় ধরে এই প্রসাধনী চুলের উপর আস্তরণের মতো লেগে থাকে। এতে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায় এবং চুল পড়ার পরিমান বেড়ে যায়।
আর তাই চুল শক্ত করে এমন পণ্য ব্যবহার না করে চুলের আর্দ্রতা রক্ষাকারী প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত।
0 Comments